ষ্টাফ রির্পোটার:এই তরুণ মুক্তিযোদ্ধার নাম জহর সেন। তিনি কুষ্টিয়া অঞ্চলে প্রথম যুদ্ধ করেন, পরে হবিগঞ্জের বাহুবলে। এখন তিনি থাকেন ভারতের আসামের করিমগঞ্জে। তিনি একাই ১৭ জন পাকসেনা ও দুই আলবদর মেরেছিলেন। যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন তার বোন রেপ হয়েছে, তাঁর বাবা মাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিতে যাননি। পরে দেশে নিরাপদ বোধ না করায় ‘৯০ এ ভারত চলে যান। শুধু নিরাপত্তার অভাবে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজের হাতে স্বাধীন করা দেশে থাকতে পারেননি, এ বেদনার, লজ্জার।
(তথ্যসূত্র: মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর পিএস সালেকউদ্দিনের লেখা বই ‘সিলেটে মুক্তিযুদ্ধ’। এছাড়া দেবদুলাল মুন্না নিজেও উনার সাথে ৮৮ সালে দেখা করেন। ‘প্রিয় প্রজন্ম’ ম্যাগাজিনে সেটার একটা ইন্টারভিউ ছাপা হয়েছিল।) একাত্তরের এপ্রিলে কুষ্টিয়ায় তোলা ছবি এটি। ছবি: অ্যান ডি হেনিং
সাম্প্রদায়িক পরিচয়ের জন্য শঙ্কিত হয়ে— অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার জন্য অস্ত্র হাতে রণাঙ্গণে লড়াই করা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নব্বইয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে— এরচেয়ে বড় বেদনার ও লজ্জার কিছু নেই।